বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
বরিশালে স্কুলশিক্ষকের নারী কেলেংকারী ফাঁস, তোলপাড়!

বরিশালে স্কুলশিক্ষকের নারী কেলেংকারী ফাঁস, তোলপাড়!

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে নারী সহকর্মীর অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আকবর কবীর সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. রোমাঞ্চ আহমেদকে প্রধান করে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। অপর তদন্তকারী হলেন সহকারী শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মনীরুল হক। গত ১৬ নভেম্বর সচেতন নাগরিকদের পক্ষ থেকে বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলালের কাছে প্রধান শিক্ষক মো. মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, চাকরি দেয়ার নামে ঘুষ, শিক্ষক বদলি বাণিজ্যসহ ১৭টি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এতে উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি ওই প্রধান শিক্ষক মোক্তার হোসেন এবং অপর এক প্রধান শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ ছবি বাবুগঞ্জ শিক্ষক সমিতির এক নেতার ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছবিটি ভাইরাল হয়। এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জনসহ আলোচনার ঝড় উঠে। নাম প্রকাশ না করায় শর্তে একজন জানান, দুই সন্তানের জননী ওই শিক্ষিকা বর্তমানে উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষক মোক্তার হোসেন বিভিন্ন সময় প্রধান শিক্ষিকাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব দিলে তিনি তা করে দিতেন। এভাবেই তাদের মধ্যে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে উঠে।
প্রধান শিক্ষিকা ওই বাসায় গেলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রধান শিক্ষিকার শর্তসাপেক্ষে মোক্তার হোসেন তার প্রথম স্ত্রীকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর নোটারির মাধ্যমে তালাক দেয় এবং ২৯ সেপ্টেম্বর নোটারির মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকার কাবিনে তাকে বিয়ে করে। এদিকে, বিয়ের পরও মোক্তার হোসেন প্রথম স্ত্রীর কাছে থাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী স্বামীর অধিকার পেতে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলালের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় শিক্ষক মোক্তার হোসেন। পরে বিয়ের আগে ওই শিক্ষিকাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তোলা অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শিক্ষকের মোবাইল থেকে ছবি ছবিগুলো তার ফেসবুকে ওই নারী আপলোড করে দিলেও শিক্ষক তা মুছে ফেলেন। এরমধ্যেই ছবিগুলো মানুষজন সংরক্ষণ করে ছড়িয়ে দেয়। তবে স্থানী কয়েকজনের দাবি, ওই প্রধান শিক্ষিকাই ছবিগুলো মেসেঞ্জারে সরবার করেছেন নিজের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য। ২ সন্তানের জনক উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের ইদিলকাঠি গ্রামের অধিবাসী মো. মোক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তার সঙ্গে আমার কর্মক্ষেত্রে সাধারণ পরিচয় ছাড়া অন্য কোনো সম্পর্ক নেই। ভাইরাল হওয়া ছবি সম্পর্কে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি চেপে যেতে অনুরোধ করেন। অপরদিকে, ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষিকা সাংবাদিকদের বলেন, মোক্তার হোসেন আমার জীবন শেষ করেছে। আপনারা তার সঙ্গে আমাকে মিলিয়ে দেন। মোক্তারের প্রথম স্ত্রী নাছিমা বেগম বানারীপাড়া পল্লী বিদ্যুতে চাকরি করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার স্বামী আমাকে তালাক দিতে পারে না। ওই প্রধান শিক্ষিকা তাকে ফাঁদে ফেলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’ ভাইরাল হওয়া ছবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
বাবুগঞ্জ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. জাহিদুর রহমান সিকদার ও যুগ্ম সম্পাদক মনোয়ার হোসেন দুজনেই জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। ওই শিক্ষক নেতারা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সমাজে ছাত্র অভিভাবকদের কাছে মুখ দেখাতে লজ্জা পাচ্ছি। তারা আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক মোক্তার হোসেন এবং ওই প্রধান শিক্ষিকা দুইজনই বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক তালিকায় রয়েছেন এবং তারাই বাবুগঞ্জে শ্রেষ্ঠ প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক করেছেন। তারা তদন্ত কমিটির কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com